Letter to Vamsidas Babaji at Dvadash Mandir
পরম শ্রদ্ধেয় বংশীদাস বাবাজী মহারাজ,
আপনার চরণে আমার কোটি দণ্ডবন্নতি গ্রহণ করিবেন। অনেক দিন পরে পত্রযোগ করিতেছি। শ্রীশচীনন্দন দাদা আর ভক্তমাএর অপ্রকটের কথা শুনিয়া খুব শোকান্বিত হইলাম। একটা চিঠিও দিয়াছিলাম। কোনও উত্তর না পাওয়ায় আমি বলিতে পারি না আপনারা পাইয়াছেন কি না। যাহাই হউক, আশা করি যে তাঁহাদের অনুপস্থিতিতেও আপনারা সবাই প্রভুর সেবায় ভালই আছেন।
গত বার যখন আমি আর গদাধরপ্রাণজী প্রভুপাদের দর্শন করিতে মন্দিরে আসিয়াছিলাম, তখন আমরা নিশ্চয় অপরাধ করিয়া ফিরিয়াছিলাম। সময়ের অভাবে আমরা মন্দিরবাসীদের ঠিক ঠিক মর্য্যাদা করি নাই, যাহার জন্য আমি আপনার আর অন্য ভক্তদের সমক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করি। তাহা হইলেও, সে দিন আমরা যে কার্য্যর গুরুত্ব ভীষণভাবে অনুভব করিতেছিলাম, তাহা দিনে দিনে কেবল বাড়িতেছে। ইহা বড় দুঃখের বিষয় যে অদ্যাপিও আমাদের শ্রীগুরুদেবের বিস্তৃত কোনো জীবনী প্রকাশিত হয় নাই। নিশ্চয় আমরাই দোষী, কারণ সেদিন আমরা রাজসিক ভাব নিয়া আসিয়াছিলাম, যেন আমরা মনে করিতেছিলাম যে এত বড় একটা কার্য্য সঙ্গে সঙ্গে করা যাইতে পারে, ফলতঃ আমাদিগকে রিক্তহস্তে বিদায় দিয়া হতাশ হইয়া ঘরে ফিরিতে হইয়াছিল।
যাহাই হউক, আমি সে একই কথা বলিতে আবার লিখিতেছি। ইদানীং ইস্কনের একজন অজ্ঞ ভক্ত আবার সে পুরাণো নিন্দাবাদগুলি প্রকাশ করিতেছেন। আমি এখন পাশ্চাত্য দেশে প্রভুর একমাত্র শিষ্য রহিয়াছি, আমি ছাড়া কে প্রতিবাদ করিতে পারিবে বলুন ? কিন্তু সে কথার বিস্তৃত প্রতিবাদ করিবার ক্ষমতা আমার নাই, যেহেতু প্রভুর জীবনীর সম্বন্ধে যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য তথ্য আমার গোচর নেই। এখন রোচন নামক ভক্ত লিখিতেছেন যে “ইতিহাসের রায় হইয়াছে, ললিতাপ্রসাদ অসার, তাঁহার কোনো মূল্য নাই, তাঁহার অবদান কিছু নাই।” আমার ভয় আছে যে যিনি শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের অভীষ্ট গুরু প্রণালী, রাগানুগা মার্গ শিক্ষা ইত্যাদি রক্ষা করিতে সারা জীবন উৎসর্গ করিয়াছিলেন, তাঁহার সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হইয়া যাইবে।
অনেকেই প্রভুর কথা জানিতে চায়, কিন্তু আমি ছাড়া আর কেউ সম্বন্ধ রাখে নাই। তথাপি আমিও তাঁর বিষয়ে বেশি কিছু বলিতে পারি না। আজ পর্য্যন্ত যাহা করিতে পারিয়াছি, তাহা করিয়া আসিতেছি। কিন্তু যাহাতে ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের অবদান আর গৌড়ীয় মঠের বাস্তবিক ইতিহাস জগতে জানানো হয়, প্রভুর নিজ লিখিত কথার উপর নির্ভর করিয়া একটা তথ্যপূর্ণ, অখণ্ড, প্রমাণিক জীবনী প্রকাশ করিবার আত্যন্তিক প্রয়োজন আছে।
এজন্য আপনাকে বারবার প্রার্থনা করিতেছি, যেন আপনি এই কার্য্যের ভার গ্রহণ করেন। আমার মনে হয় যে একজন অভিজ্ঞ গবেষক বা লেখকের হস্তে এ কার্য্য সমর্পণ করিতে পারিলে আরও ভালো হইত, কিন্তু আপনি যাহাই করিবেন না কেন, আমি পরে ইংরেজি অনুবাদ করিব এবং প্রকাশ করিবার দায়িত্ব নিব প্রতিজ্ঞা করিলাম।
আমি আবার আপনাকে অনুরোধ করি যেন আপনি এ কার্য্যের গুরুত্ব অনুভব করেন। অন্ততঃ পক্ষে, যাহাতে যদি কেউ আমাদের প্রভুর নিন্দা করে, সত্যানুসন্ধিৎসু লোক তাঁহার বাস্তব তত্ত্ব জানিতে পারিবেন।
কৃপা করিয়া আমার এ চিঠির উত্তর দেবেন। দুঃখের কথা এ যে আমি পূর্ববাংলায় আসিতে পারি না, কেন না আমার বড় ইচ্ছা ছিল নিজেই এ কার্য্য করিতে, কিন্তু প্রভুপাদের পুঁথি দেখিতে না পারিলে তাহা করিব কি করিয়া ? যাহাই হউক, আমি প্রভুর ইচ্ছায় শীঘ্রই দ্বাদশ মন্দিরে আসিয়া আপনার সাক্ষাৎ করিয়া এবিষয়ে অধিক আলোচনা করিব।
আপনার চরণে আবার আমার হার্দিক, ভক্তিপূর্ণ প্রণাম জানাই,
দীন গুরুসেবক, জগদানন্দদাস
Comments
Any chance of a translation?
Translation follows.
The trouble is, I don't think he has the wherewithal. That's a condensed summary of the letter.
I use a Bengali typing program called "Avro" by Omicron Lab. It's not perfect, but I am getting quite rapid at using it. On Microsoft it gives a couple of different type fonts, though a little more variety and a more formal font style would be nice.
For facility, I type in Word and then cut and paste.