"তুমি আমার প্রাণের বন্ধু !"
আজকে রাধাকুণ্ডে গিয়েছিলাম। রাধাকুণ্ড মহান্ত শ্রী শ্রী অনন্তদাস পণ্ডিত বাবাজী মহারাজের কাছে গিয়েছিলাম দর্শনের জন্য । উনি আমার সঙ্গে কিছু ক্ষণ কথা বললেন । পুরানো স্মৃতির আবৃত্তি হলো কিছু ।
বাবাজী অসুস্থ হলেও, ৯২ বৎসর বয়সেও এ বৎসরে নিত্য নিয়মিত পাঠ করবেন নিয়ম সেবার সময়. আমাকে রাধাকুণ্ডে থাকতে বলেছেন. আমি যে গোপালচম্পূ পাঠ করব বললাম. উনি খুশী হলেন.
বার বার বলছিলেন, "এসো, থাকো রাধাকুণ্ডে." আমি বললাম গোপালচম্পূ পাঠের কথা. বাবাজী মহাশয, "ভালো ভালো" বললেন.
আমি বলেছিলাম, "এত দিন পরে আপনার দর্শনে এলাম্. আপনার সঙ্গ লাভ করতে হলে আমার পুনর্জন্মের অপেক্ষা."
শেষে আমার মাথায় হাথ বুলিয়ে আমাকে বললেন, "তুমি আমার প্রাণের বন্ধু !" কি সুন্দর কথা, আমি চোখের জল সংবরণ করতে পারলাম না । ভেসেই গেলাম ।
রাধাকুণ্ডের পরিক্রমা করার সময, তিনকুডির প্রভুর আশ্রমের সামনে দিয়ে আমার সেই পুরানো স্মৃতি এলো -- সে নিয়ম সেবা যখন সেখানে তাঁর কাছে থাকলাম এক মাস । ঐ ছোট সরু শিরির দিয়ে আমি নেমে ঠাণ্ডা জলে, শীতের হাওয়ায় শ্রীকুণ্ডে স্নান করতাম ভোর বেলায়।
এই বার যখন নবদ্বীপে গিয়েছিলাম,গদাধরপ্রাণজী আমাকে তিনকোডী প্রভুর আর আমার একটা বিস্মৃত কথা মনে করিয়ে দিল.
তিনকোডী প্রভুর অপ্রকটের কিছু দিন আগে, আমরা দুজন তাঁকে দেখতে গিয়েছিলাম. উনি খুব অসুস্থ বলে অনেকে তাঁর দর্শনের জন্য যাচ্ছিলো. সেই সমযে প্রভুপাদ মদনগোপাল গোস্ৱামীও গিয়েছিলেন । তিনি কখনো কারো কাছে প্রণাম করতেন না, কিন্তু এই বার সাষ্টাঙ্গ দণ্ডৱৎ করে তিনকোডী প্রভুর সামনে প্রণাম করলেন.
তিনি আমাকে সেখানে দেখে তিনকোডী প্রভুর কাছে বললেন, "এই লোকটা গৌডীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের একটা মস্তবড অস্ত্র হয়ে যাবে. একে কৃপা করুন." এই ভাবে আমাকে মদনগোপাল প্রভুর আর তিনকোডী প্রভুর এক সঙ্গে আশীর্বাদ মিলল. জয় রাধে! জয় গৌর!
মাফ করুন, নিজের কথা বললাম. বাবাজী মহাশযের প্রীতি পেয়ে আনন্দ আর ধরল না, তাই কিছু বললাম.
Comments
These two photographs made my person cry with tears of joy; GURU prostrated before the reflection of GURU, ones own true self Sri Jagadananda Das.