ভক্তিবিনোদ ঠাকুর, বিপিনবিহারী গোস্বামী আর চৈতন্য জন্মস্থান

জন্মস্থান বিষয় নিয়ে গৌডীয় মঠ আর পারম্পরিক বৈষ্ণবদের মধ্যে একটা সবচেয়ে বড় বিবাদের স্থান হয়েছে । আমরা যারা ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের সঙ্গে জড়িত আর নিত্যানন্দ প্রভু -- জাহ্নবা মাতা -- রামাই ঠাকুরের দীক্ষা পরম্পরা আম্নায সিদ্ধ পরম্পরা মানি, বড়ই বিপদে পড়ি । এটা নিয়ে আমার বহু অনুসন্ধান আর মননের পরে এই বক্তব্য--
[1]
আমি বিপিনবিহারী গোস্বামী ভক্তিরত্নের ধারায় দীক্ষিত, ভক্তিবিনোদ ঠাকুরেরই ধারায় ।
জন্মস্থান বিষয় নিয়ে গৌডীয় মঠ আর পারম্পরিক বৈষ্ণবদের মধ্যে একটা সবচেয়ে বড় বিবাদের স্থান হয়েছে । আমরা যারা ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের সঙ্গে জড়িত আর নিত্যানন্দ প্রভু -- জাহ্নবা মাতা -- রামাই ঠাকুরের দীক্ষা পরম্পরা আম্নায সিদ্ধ পরম্পরা মানি, বড়ই বিপদে পড়ি । এটা নিয়ে আমার বহু অনুসন্ধান আর মননের পরে এই বক্তব্য--
১৮৯০ সালে যখন ভক্তিবিনোদ ঠাকুর প্রথমেতে "আবিষ্কার" করেন মিয়াপুরের জন্ম স্থান, সে সময়েতে নবদ্বীপ শহরে জগন্নাথ মিশ্রের বাড়ীর কোনো নাম চিহ্ন ছিল না । ঠাকুর মহাশয় তার আগে তিন বার শ্রীধাম বৃন্দাবনের যাত্রা করেছিলেন । ১৮৭০ থেকে ১৮৭৫ পর্য্যন্ত তিনি জগন্নাথ পুরীতে ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন । এই ভাবে চৈতন্য মহাপ্রভু জড়িত দুইটী প্রধান তীর্থ স্থান প্রত্যক্ষ দেখেই ছিলেন । ধাম প্রচার, গৌরাবতার প্রচার ও কলিযুগ ধর্ম প্রচার এক অভেদ তত্ত্ব মেনে তিনি গৌরধামের অভ্যুদয়ের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন ।
তাঁর অবসর নেওয়ার কিছু দিন পূর্বে তিনি কৃষ্ণনগরে ম্যাজিস্ট্রেটি করছিলেন । একটা বিশেষ কাজে তারকেশ্বর গিয়েছিলেন । অবসারের পরে রাধাকুণ্ডে গিয়ে কুটীর বেঁধে ভজন করে জীবন শেষ করবেন এই সিদ্ধান্ত পূর্ৱেও নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারকনাথের স্বপ্নাদেশ হল -- "তুমি তোমার প্রাণের গোরার ধামে ছেড়ে বৃন্দাবনে কি করবে । তোমার এখান একটা কাজ আছে" ।
তাই ভক্তিবিনোদ মহাশয চিন্তিত হলেন কি করে নবদ্বীপ একট মান্যতাপ্রাপ্ত তীর্থস্থান হয়ে যাবে, যাতে সমস্ত জগতের লোক নবদ্বীপে এসে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মহিমাকে জানবেন অর তাঁর-ই কৃপা প্রাপ্ত হবেন ।
[2]
এখন বিচার করা যাক মায়াপুর জন্মস্থানের প্রমাণিকতা ।
একদিন আমি রাধাকুণ্ড মহান্ত শ্রি অনন্তদাস বাবাজী মহারাজের সুযোগ্য শিষ্য বৈষ্ণবচরণ দাস বাবাজী মহারাজের সঙ্গে এই কথা আলোচনা করছিলাম । উনি বলেছিলেন -- "দেখো, আমাদের বড় ভাগ্য যে মহাপ্রভুর অবতারের প্রতীক দুই-ই জায়গায় হয়েছে । এট দুঃখের কথা নয়, বরং সুখেরই কথা ।"
বাবাজী মহাশয ঠীক বুঝেছেন ব্যাপারটা । দেশ বিদেশ থেকে লোক এখন ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের অভিলাষ বাস্তবায়িত করার জন্য আসছে । মায়াপুর ঈশোদ্যান এখন একট বাস্তবিক তীর্থ স্থানের রূপ ধারণ করেছে, যেখানে মিশ্রিত ভক্তি, দেবদেবী পূজা, পশুবলি, হিন্দূ ধর্মের কুসংস্কার আদি কম দেখা যায় । পুরাণো নবদ্বীপও অনেক লাভ উঠেছে মায়াপুরের অভ্যুদয় থেকে । যত দিন যায় তাও বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় । তাতে সুখের কথা বৈ কি ?
ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের জন্মস্থান নির্ণয় ভ্রান্ত বা বিপ্রলিপ্সা ইত্যাদি প্রাকৃত দোষের উপর নির্ধারিত হয়েছে গৌণ হয়ে যায় । নবদ্বীপ ধাম আর গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর কথা সর্বত্র প্রচার হয়েছে -- পৃথিৱী পর্যন্ত আছে যত দেশ গ্রাম । সর্বত্র সঞ্চার হইবেক মোর নাম ॥
আমার গুরুভাই বিদেশী ভক্ত গৌর-গদাধর-গত-প্রাণ গদাধরপ্রাণদাস মহাশয এক বার আমাকে বলেন যে গুরু আর পরমগুরুদেবের বিবাদে কার পক্ষ নিতে হয় ? এখান শব্দ প্রমাণ আর চালু হয়, না প্রত্যক্ষ-অনুমান ? উনি বলেছেন যে সব বিচার করে আমরা পরম গুরুদেবের কথা মান্য করি । মায়াপুর যে বাস্তবিক চৈতন্য জন্ম স্থান তা আমরা বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করতে পারি না । ভগীরথীর বিভিন্ন পুরাণো অবশেষ দেখে সহজ দৃষ্টিতে এক সময় তা বর্তমান শহরের পূর্বেই প্রবাহিত ছিল । বামনপুকুর বলালদীঘী ইত্যাদি অনেক দুরে থাকে । একটা বড় শহর এত দূরে স্থানান্তরিত হতে পারি তা আমরা বিশ্বাস করতে পারি না । আমরা এও জানি যে বাঙ্লায় মুসলমান আর হিন্দূ বস্তি খুব দীর্ঘস্থায়ি হয় । ব্রাহ্মণের বসতি মুসলমানের বাসস্থান হয়ে যেতে পারে তাও বোধগম্য নয়।
তবুও আমরা ভক্তিবিনোদ ঠাকুর আর বিপিনবিহারি গোস্বামী প্রভুপাদের সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে মানতে পারি না ।
[3]
ইহার বহু কারণ আছে । প্রথমতঃ ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের্ নিজের আত্মজীবনীতে তিনি যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তাঁর দীক্ষা গুরুর প্রতি । দ্বিতীয়তঃ, বিপিন বিহারী প্রভুপাদও স্বলিখিত দশমূলরসে নিজস্ব শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা তাঁর সেই শিষ্যের প্রতি বিস্তারিত ভাবে প্রকাশ করেছেন। তার কিছু নিদর্শন এখানে দেওয়া হচ্ছে।--
"আমার শিষ্যদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলেন ভক্তিবিনোদ শ্রীকেদারনাথ দত্ত, যিনি সবাকার হৃদয়ে আনন্দ নিয়ে আসেন। এক বীর ভক্ত যিনি কিনা দত্তবংশের অলঙ্কার এবং যিনি বৃটিশরাজের সেবকদের কাছ থেকে প্রচুর সম্মানলাভ করেছেন।
"তাঁর জগন্নাথপুরীতে থাকাকালে তিনবছর ধরে আমাদের মধ্যে পত্রবিনিময় হয় যাতে আমরা ভক্তিমূলক বিষয়ে আলোচনা করেছিলাম এবং এইভাবে তিনি আমায় বুঝতে পারেন। তারপর তাঁদের নড়াইলের বাসস্থানে এক শুভক্ষণে তিনি ও তাঁর স্ত্রী আমার কাছে দীক্ষাগ্রহণ করেন। সেইসময় তিনি নড়াইলের ম্যাজিসট্রেট ছিলেন এবং সেখানে বসবাসকালেই তিনি প্রথম গুরু-আশ্রয় করেছিলেন। বর্তমানে তিনি কলকাতার ১৮১ রামবাগান লেনে তাঁর সরকারি পেনশনে স্বচ্ছন্দেই আছেন এবং তাঁর সপ্তম পুত্রের পিতা হয়েছেন।
“আমার কাছ থেকে দীক্ষা নেওয়ার পর থেকে তিনি আমাকে মুক্তভাবে সাহায্য করেছেন এবং আমার গৃহস্থালির যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করেছেন। সেইদিন থেকে, আমার নিজের দিনগুজরানের খরচাপাতির ব্যাপারে আমাকে আর বিশেষ ভাবতে হয়নি, সবটাই কেবলমাত্র এই শিষ্যের ভক্তির কারণে। তথাপি যদিও তিনি অমন অনেক বিপুল সেবা করেছেন, তিনি কিন্তু কখনই তুষ্ট হননি এবং সর্বদা অনুশোচনা করেছেন যে তিনি তাঁর গুরুর আরো সেবা করতে পারছেন না ব’লে। তিনি শাস্ত্র থেকে উদ্ধৃতি দেন, সচ-ছিষ্যয়ির গুরু-নিষ্কৃতিহি--- 'ভালো শিষ্যেরা গুরুকে সবরকম বিপদ থেকে রক্ষা করেন,' এবং বলেছেন যে তিনি এই আদেশটি পালন করতে সমর্থ হননি। আমি এটি ভালোকরেই জানি কেননা তিনি ও তাঁর স্ত্রী প্রায়শই আন্তরিকভাবেই এমন অনুশোচনা প্রকাশ করে থাকেন।
`“ভক্তি বিষয়ে কেদারের লেখা বইগুলিই এই বিষয়ে তাঁর বিপুল জ্ঞানের প্রমাণ। অনেক অনুসন্ধানের পর তিনি নবদ্বীপ-মায়াপুরে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান আবিষ্কার করেন। আসল ভক্তেরা সর্বদাই তাঁর গুণগান গা’ন এবং কেবলমাত্র মিথ্যে ত্যাগী ও প্রতারকরাই তাঁর সমালোচনা করেন।
“যেহেতু তিনি আমার শিষ্য, আমি আর খুববেশি এগোবনা, বরং সেইটুকুই মাত্র বলেছি যাতে প্রত্যেকে জানে [আমাদের সম্পর্ক সন্বন্ধে]। আমি তাঁকে আশীর্বাদ দিই যে তিনি, তাঁর পত্নী, ছেলেমেয়েরা ও নাতিনাতনিরা সকলেরই যেন দীর্ঘজীবন হয় এবং তাঁদের সকল কাজই যেন কৃষ্ণপ্রীত্যার্থে করেন। তিনি ও তাঁর পত্নী যেন সর্বদাই শ্রীকৃষ্ণপাদপদ্ম সেবাতেই নিযুক্ত থাকেন।”
পুরো উদ্ধৃতাংশটিই স্বব্যাখ্যাদায়ক, যদিও জন্মস্থানের উল্লেখটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এরদ্বারা সেইকাজেও বিপিনবিহারীর অনুমোদন দেখা যায়। বইয়ের প্রকাশিত সংস্করণের তারিখ 1907, যা জন্মস্থান মন্দির প্রতিষ্ঠার পনের বছরেরও বেশি সময় পর। সেখানে সমালোচকরা থাকার ইঙ্গিতটি নিঃসন্দেহে এই বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত কারণ সেইস্থান হিসেবে মায়াপুর একদম শুরু থেকেই বিতর্কিত ছিল। তাঁর জীবনীতে ভক্তিবিনোদ স্বয়ংও ততটাই বলেছেন।
(দমূর, ১২১৬-১২১৯)
[4]
এ ছাড়া আমাদের ভালো করে বুঝা উচিত যে বিপিন বিহারী গোস্বামী নবদ্বীপ প্রচারিণী সভার সদস্যও ছিলেন এবং তার সভাপতিত্বও কিছু সময় গ্রহণ করেছিলেন । এভাবে বহুদিন মায়াপুরের জন্মস্থানের পক্ষপাতি ছিলেন । পরে তার মন বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হয়েছে । তবুও তিনি যে শিষ্যকে বর্জিত করেছেন তাও ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের অপ্রকটের পরে । গৌডীয় মঠের প্রবর্তক ঠাকুরের পুত্র বিমলা প্রসাদ দত্ত সিদ্ধান্ত সরস্বতী তীক্ষ্ণ ভাবে নবদ্বীপ সমাজের সঙ্গে লড়াই করেন । দুই পক্ষের মধ্যে বিদ্বেষ আর হিংসা চরম সীমায় পৌঁছেছিল ১৯১৪ সালের পরে । বিপিনবিহারী প্রভুর নবদ্বীপ শহরে নিবাস ছিল, তিনি সে সমাজের অংশধার, সেই জন্য গৌডীয় মঠের সঙ্গে সব সম্বন্ধ কাটিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন । ভক্তিবিনোদ ঠাকুর সেই গৌডীয় মঠের প্রতিষ্ঠাতা না হলেও, তার-ই মূল পুরুষ বলে অবশ্য অঙ্গীকরণীয় ।
দুঃখ হয় কি কাননবিহারী গোস্বামী প্রভুও তার বাঘনা পাড়ার গুরুপরম্পরার সম্বন্ধিত গ্রন্থেতে ভুল লিখেছেন যে ভক্তিবিনোদ ঠাকুর গৌডীয় মঠ প্রতিষ্ঠা করেছেন । অধিকন্তু তিনি উল্লেখ করতে ভুলেছেন যে বিপিনবিহারী প্রভুও অনেক দিন (বিশ বছর) মায়াপুরের জন্মস্থানের পৃষ্ঠপোষকই ছিলেন ।
এই সব তথ্য নিয়ে, আমরা পূর্বাপর বিচারাদি করে শ্রী ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের শ্রী রামাই ঠাকুর রামচন্দ্র গোস্বামীর দীক্ষ পরম্পরার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন নিত্য সম্বন্ধ স্বীকার করি । আমি মহাপ্রভুর অখণ্ড মহিমার বলে দুইটি জন্মস্থানের নিত্যতাও স্বীকার করি ।
নাহং বসামি বৈকুণ্ঠে যোগিনাং হৃদয়ে ন চ ।
মদ্ভক্তা যত্র গায়ন্তি তত্র তিষ্ঠামি নারদ ॥ Nabadwip.Royal Society - poramatala mahishasurmardini এ সব বুঝলাম আর মানলাম। আমি শুধু বলতে চেযেছিলাম যে ঝগড়া করলে লাভ নাই । নরহরি চক্রবর্তীর কল্পনার বা ভাবনার অনুসারে ভক্তিবিনোদ ঠাকুরও কল্পনা করেছেন এ কারণে যে উনি মহাপ্রভুর ধাম প্রচার করতে চেযেছিলেন । সে উদ্দেশ্য সফল হয়েছে আমাদের সকলের প্রত্যক্ষ রূপে । মায়াপুর এখনও পুরী বা বৃন্দাবন হল না, কিন্তু ভারতবর্ষের ধর্মাকাশে তার সিতারা উদিত হয়েছে বটে । আসল জন্ম স্থানে গঙ্গার গর্ভে হৌক বা রামচন্দ্রপুরে হৌক বা কিম্বা মায়াপুরে, তাতে কিছু বিশেষ আসে যায় না । মহাপ্রভুর অবতার লীলার স্মারক হিসেবে একটা স্থান দরকার ছিল । সে অভাব পূরন করতে ভক্তিবিনোদ ঠাকুর উদ্যত হলেন । ভক্তিবিনোদ অনেক কল্পনা করেছেন । যে ভাবে রূপ আর সনাতন মহাপ্রভুর আদেশে মথুরায় কৃষ্ণ লীলাস্থলি গুলো কল্পনা করে "আবিষ্কার" করেছেন, ভক্তিবিনোদ ঠাকুর নবদ্বীপ ধামে মহাপ্রভুর লীলা স্মৃতি স্থাপনা করতে চেয়েছিলেন । নবদ্বীপ ভাব তরঙ্গিনী ইত্যাদি কয়েকটি বই রচনা করেছেন যার মধ্যে নবদ্বীপ ধামের পরিক্রমা বর্ণিত হয় । সবই তাঁর কল্পনা ! প্রাচীন পৌরাণিক একট তীর্থমাহাত্ম্য বাংলা ভাষায় রচনা করেন । কোথাও কোনো একটা প্রাচীন মন্দিরের নোতুন লীলা কল্পনা করেন যেমন নৃসিংহপল্লি, কোথাও পৌরাণিক কথার সঙ্গে একটা নোতুন লীলা কল্পনা করেন, যেমন জহ্নুদ্বীপে জহ্নু ঋষির কথা, কোথাও ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের কাথা আনয়ন করে নোতুন কথার কল্পনা করেন, যেমন জযদেব, চারি সম্প্রদায়ের আচার্য ইত্যাদি, কোথাও কোনো বাস্তব গৌরাঙ্গ পার্ষদের বাড়ি বা স্মৃতিচিহ্ন ঐতিহাসিক সত্যের উপর ভিত্তি করা হয়েছে । দোষ কী ? পুরাতত্ত্বের প্রামাণিক কিছু পাওয়া যাবে না ।স্থাপিত হবে না, উদ্দেশ্য কেবল স্মরণ ।
ওং শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ ॥

Comments

Popular posts from this blog

O Mind! Meditate on Radha's Breasts

Swami Vishwananda's Bhakti Marga and Parampara

Erotic sculptures on Jagannath temple